সুন্দর ও ঘন দাড়ি গজানোর কিছু ঘরোয়া টিপস
১. আমলকীর তেল দ্রুত দাড়ি গজাতে সাহায্য
করে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট আমলকীর তেল
দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ
ধুয়ে ফেলুন।
২. দিন দুবার মৃদু ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুতে হবে। মুখ
ধোয়ার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। পরিষ্কার
ত্বক দাড়ির বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে দেবে।
৩. ইউক্যালিপটাস দাড়ি বড় করতে সাহায্য করে।
ইউক্যালিপটাস সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার দিয়ে ত্বক
ম্যাসাজ করুন।
৪. দাড়ি ভালোভাবে এবং দ্রুত গজানোর জন্য কিন্তু
ভালোভাবে ঘুম হওয়া জরুরি। এটি ক্ষতিগ্রস্ত
কোষকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৫. কিছু ভিটামিন এবং মিনারেল দ্রুত দাড়ি গজাতে সাহায্য
করে। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং
ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।
৬. প্রতিদিন ২ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট
গ্রহণ করুন। এটি চুল গজাতে কাজে দেবে। তবে
যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিন।
৭. মানসিক চাপ কম থাকলে দাড়ি দ্রুত গজায়। তাই ধ্যান
করে বা যোগব্যায়াম করে মানসিক চাপ কমানোর
চেষ্টা করুন।
৮. প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। মাছ, মাংস,
ডিম বাদাম ইত্যাদি খান। এতে দাড়ি দ্রুত গজাবে।
৯. মুখের ম্যাসাজ রক্তের চলাচলকে বাড়ায়। এটি চুল
গজাতে সাহায্য করে। তাই প্রায়ই মুখে ম্যাসাজ করুন।
এ ছাড়া ছয় মাস পরপর দাড়ি ট্রিমিং করুন।
Health Tips Bengali | Health Care Advice in Bangla | স্বাস্থ্য পরামর্শ
Bangla Health Tips Site,Bangla Health Care Advice,Bangla Healthy Tips Blog,BD Health Tips Tricks
Sunday, December 23, 2018
সুন্দর ও ঘন দাড়ি গজানোর কিছু ঘরোয়া টিপস
ধূমপানের নেশা কিভাবে সহজে পরিত্যাগ করবেন?
ধূমপানের নেশা কিভাবে সহজে পরিত্যাগ
করবেন?
ধূমপায়ীদের পক্ষে এ নেশা ত্যাগ করা মোটেই
সহজ নয়। অনেকে তো রীতিমতো যুদ্ধ
করেও হাল ছেড়ে দেন। কারণ মাঝে মাঝে এমন
সময় এসে উপস্থিত হয় যখন ধূমপান না করা পর্যন্ত
স্বস্তি পান না অনেকে। আর এভাবেই ছাড়ি ছাড়ি
করেই এই বদ অভ্যাসটি ছাড়া হয় না। এক্ষেত্রে
কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হলো এ লেখায়।
Smoke
হাঁটাহাঁটি শুরু করুন
যখনই ধূমপানের ইচ্ছে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে তখন
হাঁটতে চলে যান বাইরে। ৫-১০ মিনিট হেঁটে আসুন।
হাঁটা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করে। এবং শারীরিক
পরিশ্রম অনেকাংশে ধূমপানের ইচ্ছে কমিয়ে
দেয়।
মনোযোগ অন্যদিকে সরান
ধূমপানের ইচ্ছা মনের ভেতর চাগিয়ে উঠলে দ্রুত
মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা
করুন। নিজের পছন্দের কিছু করুন, বই পড়া, ছবি আঁকা,
গান শোনা কিংবা একটু নেচে নেয়া ইত্যাদি।
চাইলে একটু যোগ ব্যায়াম করে নিতে পারেন।
এতে মনোযোগ সরে যাবে সেই সঙ্গে
ধূমপানের ইচ্ছেটাও।
পানি পান করুন
যখনই ধূমপানের ইচ্ছে জাগবে তখনই ২ গ্লাস পানি
পান করে ফেলবেন এক নিঃশ্বাসে। এতে করে
আপনার দেহে যে ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি
হয়েছিল ধূমপান না করার কারণে তা নষ্ট হবে।
আপনার ধূমপানের ইচ্ছেও চলে যাবে।
মিষ্টি কিছু খান
যখন দেহের রক্তে চিনির মাত্রা কমে যায় তখনই
ধূমপানের ইচ্ছেটা বেশ ভালো করে চাগিয়ে
উঠে। তাই ধূমপানের ইচ্ছে হলেই চিনি সমৃদ্ধ কিছু
খেয়ে ফেলুন। এতে ধূমপানের ইচ্ছে মরে
যাবে।
বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন
যখনই ইচ্ছে হবে একটু ধূমপান করার তখনই সাত পাঁচ
না ভেবে বন্ধু বা বান্ধবীকে ফোন দিন কিংবা
কাছাকাছি থাকলে মুখোমুখি কথা বলুন। পাঁচ মিনিট কথা
বলুন। দেখবেন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার ছলে
ভুলেই গেছেন ধূমপান করার কথা। এবং ৫ মিনিট পরে
আবিষ্কার করবেন ধূমপানের যে ইচ্ছেটা জেগে
উঠেছিল তা মরে গেছে।
ধূমপান ত্যাগের কারণটি মনে করুন
ধূমপানের খুব ইচ্ছে হলে মনে করুন কি কারণে
আপনি ধূমপান ছাড়তে চাইছেন। কোনো
পছন্দের মানুষের কারণে বা নিজের বাবা-মায়ের
কারণে অথবা নিজের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে।
যে কারণেই হোক সেটি মনে করুন এতে
মনের জোর পাবেন।
শীতে ঠোঁট ফাটলে কি লাগাবেন? | Winter Tips
আমাদের ঠোঁট খুবই নমনীয় একটি বস্তু এর চামড়া
এতই পাতলা যে পরিবেশের তাপমাত্রা পরিবর্তন
হওয়ার সাথে সাথে এটি পরিবর্তন হয়।
শীতের আগমন প্রথমেই টের পায় আমাদের
ত্বক। এদিক থেকে ঠোঁটে টান টান বোধ হয়
সবার আগে। সতর্ক না হলে চামড়া ফেটে রক্ত
পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে পারে। প্রথমেই
দেহের ভিতর থেকে ঠোঁটের পুষ্টি যোগাতে
হবে।
দেহের ত্বকের মতো ঠোঁটেরও হাইড্রেশন
দরকার। তাই শীতের অলসতায় পানি খাওয়া কমিয়ে
দেওয়া যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, ফল ও সবজি
খেতে হবে।
শীতের শুরুতেই ভালো মানের পেট্রোলিয়াম
জেলি, নারকেল তেল বা গ্লিসারিন ঠোঁট ও
ঠোঁটের চারদিকে লাগাতে হবে। যারা সব সময়
বাইরে থাকেন, তারা সাথে লিপ বাম বা লিপ জেল
রাখতে পারেন। শীতকালে খাদ্যাভ্যাসে কিছু
পরিবর্তন আনতে পারলে ত্বককে সুস্থ রাখা
সম্ভব।
আরো পড়তে পারেন: শীতকালে মুখের Skin
সুন্দর রাখার ছয়টি ঘরোয়া উপায় – Winter Tips
এ সময় খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পাশাপাশি সবজির
পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। টক জাতীয় ফল যেমন-
লেবু, জাম্বুরা, কমলা, বরই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি কমায় ও
ত্বক সুস্থ রাখে। অনেকে ঠোঁট ফাটা থেকে
রক্ষা পেতে একটু পর পর জিভ দিয়ে ঠোঁট
ভিজিয়ে থাকে। এই কাজ করা যাবে না।
শীতকালে মুখের স্কিন সুন্দর রাখার ছয়টি ঘরোয়া উপায় - Winter Tips
শীতকাল আসলেই অনেকের মুখের ত্বক
ফেটে যায় অনেকের ত্বক শুস্ক থাকার কারণে
ত্বকে ফাটলো সাদা সাদা দাগ দেখা যায়। এজন্য
আজকে আমরা দিচ্ছি ছয়টি ঘরোয়া উপায় যার মাধ্যমে
আপনি আপনার ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ রাখতে
পারবেন এই শীতকালে।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা যা জেরোসিস ( Skin
Xerosis ) নামেও পরিচিত। এটি এমন এক ত্বকের
অবস্থা যা ত্বকের বাইরের স্তরে আর্দ্রতার অভাব
ঘটায়। চিকিৎসা না হলে শুষ্ক ত্বকে ফাটল, সাদা দাগ এবং
সংক্রমণ দেখা যায়। শুষ্ক ত্বক সাধারণত গরম বা ঠাণ্ডা
আবহাওয়া, গরম জলে স্নান এবং কম আর্দ্রতার
পরিবেশগত কারণেও ঘটে। শুষ্ক ত্বক সাধারণত
অস্থায়ী এবং সাধারণত শীতকালে এই সমস্যা বাড়ে।
অতএব, শুষ্ক ত্বক আর্দ্র রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য
ঘরোয়া সমাধান
মধু : শুষ্ক ত্বকের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত ঘরোয়া
প্রতিকার হল মধু। মধু খুবই ময়শ্চেরাইজিং, এবং শুষ্কতা
কমিয়ে ত্বক নরম করতে সাহায্য করবে। মধুতে
অনেক ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং
এতে অ্যান্টিমাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল
বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। আপনি ফেস মাস্ক হিসাবে কাঁচা
মধু প্রয়োগ করতে পারেন। শুকিয়ে গেলে
উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিনবার মধু
প্রয়োগ করলে আপনার ত্বকের শুষ্কতা এবং সাদা
দাগগুলি হ্রাস পাবে।
ওটমিলে স্নান: ওটমিল এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান যা
শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসার জন্য উপকারী। স্নানের
সময় গুঁড়ো ওটমিল যোগ করলে বা ওটমিলযুক্ত
ক্রিম ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকের উপশমে সাহায্য
করতে পারে। কাঁচা দুধ এবং ওট মিশিয়ে প্যাকও
বানাতে পারেন।
দুধ : যদি ত্বকে চুলকানি বোধ করেন এবং আপনার
ত্বকে সাদা দাগ দেখতে পান তবে ঠাণ্ডা দুধ ব্যবহার
করতে পারেন। কাঁচা দুধ একটি কাপড় ভিজিয়ে তা পাঁচ
থেকে দশ মিনিটের জন্য আপনার ত্বকে
প্রয়োগ করুন। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড আপনার
শুষ্ক ত্বকের জন্য বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে।
নারকেল তেল: আমরা সবাই নারকেল তেলের
বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা জানি। শুষ্ক ত্বকের চিকিত্সা
করতে দুর্দান্ত কাজ করে প্রাকৃতিক নারকেল
তেল। নারকেল তেল শুষ্ক ত্বকের চিকিত্সার
জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি হিসাবে নিরাপদ এবং
কার্যকর। এই তেল উল্লেখযোগ্যভাবে
ত্বকের হাইড্রেশন উন্নত করে এবং ত্বকে
লিপিডের (চর্বি) সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
দই: আপনার ত্বকে দই প্রয়োগ করলে মুখে
ময়শ্চারাইজারের পরিমাণ ঠিক থাকে এবং
ব্রেকআউটের বিরুদ্ধেও তা লড়াই করতে পারে।
মুখে দই প্রয়োগ করলে তা আপনার ত্বক নরম
এবং ময়শ্চারাইজ করতে সহায়তা করে। এটি আপনার
ত্বককে একটি মসৃণ টেক্সচার দেয়। আপনার
ত্বকে সাদা দই প্রয়োগ করুন এবং প্রায় পনেরো
মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন। তারপর উষ্ণ জল দিয়ে
ধুয়ে দিন। শুষ্কতা হ্রাস করতে সপ্তাহে কয়েকবার
বা প্রতিদিনই দই প্রয়োগ করতে পারেন।
বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় জেনে নিন - ঘরোয়া উপায়ে দ্রুত
বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় জেনে নিন এখান
থেকে। যখন কয়েকমাস যাবৎ কোন যুগল সন্তান
ধারন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন – তার
মানে স্বামী অথবা স্ত্রী দুয়ের একজনে অথবা
উভয়ের মাঝে কোন সমস্যা আছে। যেকোন
মানুষ সহজেই অনুমান করতে পারেন যদি তাদের
বান্ধত্ব্য জাতীয় কোন সমস্যা থাকে। পুরুষও এর
উর্দ্ধে নয়। বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়
জানতে পোস্ট টি পুরোটা পড়ুন।
sperm-increase
যদি কোন পুরুষ মনে করেন যে তার বীর্যে
শুক্রানু প্রয়োজনীয় পরিমানে সর্বোচ্চ নয়,
তাহলে তিনি কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন
করতে পারেন। মনে রাখবেন আপনি যদি
একবছরের বেশি সময় ধরে এ চেষ্টা না করে
থাকেন তাহলে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা নিয়ে
দুশ্চিন্তা করার মত কোন কিছু নেই। আর যদি আপনি
একবছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে সন্তান
নেবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন, তাহলেই শুধু
ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।
বীর্যে শুক্রানুর পরিমান/সংখ্যা নিয়ে পুরুষের কিছু
ভুল ধারনা
শুক্রানু সংখ্যা বৃদ্ধির উপায় বলার আগে চলুন এ বিষয়ে
কিছু ভুল ধারনা সম্পর্কে যানা যাক। কিছু মানুষ মনে
করেন তার বীর্যের পরিমান এবং রঙের দিকে
তাকিয়ে নিঃস্বরিত বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা অনুমান করা
সম্ভব! বীর্যের পরিমান দিয়ে কোন পুরুষের
বন্ধত্ব কিংবা সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা নির্ধারন করা
যায়না। বীর্যের বেশিরভাগ অংশ বীর্য-তরল, তাই
খালি চোখে আমরা যা দেখি তা দিয়ে দৃশ্যমান
বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা নিরূপন করা করা অসম্ভব।
বীর্যে শুক্রানুর পরিমান/সংখ্যা জানতে তা
মাইক্রোস্কপে পরীক্ষা করা অবশ্যক।
বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়
কিছু মানুষ মনে করে খৎনা না করা লিঙ্গ পুরুষের
সন্তান জন্মদান ক্ষমতাকে ক্ষতিসাধন করতে পারে।
খৎনা এবং শুক্রানুর সংখ্যার সাথে কোন পারস্পরিক
সম্পর্ক নেই। খৎনা হলো শুধুমাত্র লিঙ্গের
অগ্রভাগ থেকে কিছুটা চামড়া কেটে ফেলা মাত্র।
খৎনা নিয়ে জাতি এবং ধর্মবেধে মতপার্থক্য থাকতে
পারে। কিন্তু লিঙ্গের অগ্রভাগে চামড়া থাকা এবং না
থাকার সাথে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যায় কো ন
পার্থক্য হয়না।
বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়
অন্য একটি ভুল ধারনা হলো, যৌন পুরুষোচিত তেজ
এর ভিত্তিতে একজন পুরুষ বলতে পারে তার
বীর্য কতটা উর্বর। উন্নত যৌনক্ষমতা থাকা হয়তো
আনন্দের, কিন্তু তা পুরুষের সন্তান জন্মদান ক্ষমতা
এবং বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা পরিমানের সাথে কোন
প্রকার সম্পর্কযুক্ত নয়। শুক্রানুর সংখ্যার সাথে
অনেকগুলো কারন জড়িত থাকতে পারে, কিন্তু ভাল
যৌনমিলন ক্ষমতা এর সাথে সম্পর্কিত নয়।
বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় – বীর্যে
শুক্রানুর সংখ্যা বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায় সমূহ
অল্প কিছু বিষয় পুরুষের বীর্যে শুক্রানু সংখ্যার
উপর প্রভাব ফেলে। নিন্মে তার কিছু বর্ননা করা
হলো:
ধুমপান করবেন না
Smoke
এখনাকার সময় সবাই যানে ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য
ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে ধুমপান শুধুমাত্র
মোটের উপর স্বস্থ্যের জন্য ঝুকিপুর্ন নয়, এটি
আপনার সন্তান জন্মদান ক্ষমতাও ধ্বংস করতে পারে।
এক স্টাডিতে দেখা গেছে, যেসকল পুরুষ ধুমপান
করেন তাদের বীর্যে শুক্রানুর পরিমান যারা ধুমপান
করেননা তাদের তুলনায় ১৭% কম।
মদ কিংবা অন্য মাদক পরিহার করুন
অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা মাদকের ব্যবহার উর্বরতা নষ্ট
করতে পারে। যেসকল পুরুষ দিনে ৪ গ্লাসের
বেশি মদ্যপান করে থাকেন তাদের শুধুমাত্র সন্তান
জন্মদান ক্ষমতা নয় – মোটের উপর যৌনক্ষমতা হ্রাস
পেতে থাকে। পাশাপাশি অধিক মাদক গ্রহন পুরুষের
লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখা ব্যহত করে যা স্থায়ী যৌন
অক্ষমতায় রূপ নিতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন
পর্যপ্ত পুষ্টিযুক্ত খাবার, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং
শরীরের সঠিক ওজন ধরে রাখার মাধ্যমে উর্বরতা
(fertility) উন্নয়ন করা যায়। শাকসব্জি এবং ফলমুল খাদ্য
তালিকায় থাকলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে যা উর্বরতায়
(fertility) ভুমিকা রাখে। গবেষনায় দেখা গেছে
শাকাসব্জি ও ফলমুলে বিদ্যমান এন্টিঅক্সিডেন্ট
উর্বরতা ( fertility) এর জন্য অনেক বেশি
উপকারী। পাশাপাশি সঠিক শাররীক ওজনও একটি
গুরুত্বপুর্ন বিষয়। অতিরিক্ত মেদযুক্ত পুরুষের
শুক্রানুর সংখ্যা এবং শুক্রানুর গুনগত মান উভয়ই খারাপ
হয়ে থাকে।
যৌনমিলন করুন
আপনি হয়তো মনে করছেন যৌনমিলন করা সন্তান
প্রত্যশি যুগলের জন্য ভাল জিনিস, কিন্তু অনেক
যগলের ভুল ধারনা আছে যে মাত্রতিরিক্ত শাররীক
মিলন করলে বীর্যে শুক্রানুর পরিমান কমে যায়।
তথ্যটি একসময় সত্য ছিল – কিন্তু বর্তমানে সুঠাম
স্বাস্থ্যবান (মোটা নয়) পুরুষের ক্ষেত্রে এটি ভুল
ধারনা বলে প্রমানিত হয়েছে। একসময় ডাক্তার এমন
পরামর্শ দিতেন যে, যেসকল পুরুষের শুক্রানু সংখ্যা
কম তারা কিছুদিন শাররীক মিলনে বিরতি দিয়ে শুক্রানু
জমা করে শাররীক মিলন করতে পারেন। যদিও
অনিয়মিত যৌনমিলন হয়তো সংখ্যায় কোনক্রমে
উন্নত হয়, একই সাথে শুক্রানুর গুনগত মানে এর
নেগেটিভ ইফেক্ট আছে। যখন একজন পুরুষ
নিয়মিত যৌনমিলন করে তখন প্রতিবার বীর্যস্থলনের
সময় সে তার ক্রুটিপুর্ন শুক্রানুর একটা অংশ নিষ্কৃত
করে। এভাবে ক্রুটিপুর্ন শুক্রানু নির্গত করে সে
স্বাস্থ্যবান শুক্রানু উৎপাদনের জন্য যায়গা খালি করে।
সকালবেলা যৌনমিলন করলেও লাভবান হবার সম্ভাবনা
আছে। গবেষণায় দেখা গেছে সকালবেলা
প্রাকৃতিক ভাবেই বীর্যে শুক্রানু সংখ্যা সর্বোচ্চ
পরিমানে থাকে।
বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আরও
জানতে হেল্থ বাংলা ওয়েবসাইট এর পুরুষের
স্বাস্থ্য পোস্টগুলো পড়ুন।
শীতকালে ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের শরীরকে সুস্থ রাখুন
শীতকালে ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের শরীরকে
সুস্থ রাখুন আর থাকেন প্রাণবন্ত। শীতের সময়টায়
নিজের শরীরটাকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে
ব্যায়ামের পরামর্শ নিয়ে লিখেছেন আফসানা জামিন।
রাতের বেলা গরম ভাবটা থাকলেও ভোরের দিকে
একটু একটু শীত অনুভূত হয়। পুরোদমে শীত
আসতে আর বেশি বাকি নেই। এই সময়ে শরীর
থেকে এই ক্লান্তি আর অবসাদ ঝেড়ে ফেলার
মোক্ষম অস্ত্র কিন্তু ব্যায়াম।
নিয়মিত ব্যায়াম দেহ-মনকে যেমন চাঙা রাখে,
শীতটাও করে উপভোগ্য।
ব্যায়ামের আগে কি করতে হবে জেনে নিন,
নাহলে হতে পারে হঠাত মৃত্যু
শরীর সুস্থ তো মনটাও হবে ফুরফুরে। আপনি
চাইলে বাসাতেই হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস করতে
পারেন। কিংবা সকালে বা সন্ধ্যায় যেকোনো সময়
রুটিন করে অন্ততপক্ষে আধা ঘণ্টা হাঁটতে পারেন।
প্রতিদিন হাঁটলে আপনার শরীরের সব অংশে রক্ত
চলাচল ঠিকভাবে হবে। এ ছাড়া হাঁটলে ঘামের সাথে
প্রচুর বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় শরীর
থেকে। এতে করে শরীরের যেমন উপকার
তেমন এর একটা বিশেষ দিক ফুটে ওঠে ত্বকে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে,মলিনতা কেটে যায়।
নিয়মিত হাঁটলে হার্ট ভালো থাকে আর হার্টের
কোনো ধরনের অসুখ হওয়ার ঝুকি কমে যায়।
আর ব্যায়ামাগারে গিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারলে
আরও ভালো হয়। হালকা শীতের এই সময়ে ব্যায়াম
করার সময় সুতির ফুলহাতা টি-শার্ট পরা ভালো, সঙ্গে
ট্রাউজার। ব্যায়ামের সময় কেডস পরে নিন। শরীর
উষ্ণ রেখে ব্যায়ামের উপযোগী রাখবে
এগুলো। ব্যায়ামাগারে আসার আগে শরীরে অলিভ
অয়েল মেখে নিলে শরীর উষ্ণ হবে তাড়াতাড়ি।
সঙ্গে জলের বোতল আর তোয়ালে।
বোতলে অল্প চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।
ব্যায়ামাগারে শারীরিক পরিশ্রমে শরীর থেকে
যে ক্যালরি হারাবে, তার খানিকটা পুষিয়ে দেবে চিনি।
নিয়মিত যারা ব্যায়াম করেন, তাদের জল খেতে হবে
প্রচুর। ব্যায়াম শেষে স্টিম বাথ নেওয়া যেতে
পারে, এতে লোমকূপে জমে থাকা ময়লা দূর
হবে। ব্যায়ামাগারে এসে যারা মেদ ঝরাতে চান
তাদের জন্য—খালি পেটে ব্যায়াম করা যাবে না
কখনোই। সকালে ব্যায়ামাগারে যাওয়ার আগে দুটি
কলা, সঙ্গে একটি রুটি রাখতে পারেন। ফিরে এসে
চারটি কলা, দুটি শসা, দুটি রুটি, সঙ্গে লেবু।
এক মাসে ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট প্লান
দুপুরে এক কাপ ভাত, মাছ ও সবজি ইচ্ছেমতো।
রাতে রুটি চারটি, একটি গোল আলু এবং মিষ্টি আলু আর
সবজি। আর যারা ব্যায়ামাগারে আসেন স্বাস্থ্য
ফেরাতে তাদের বেলায় ব্যায়ামাগারে ঢোকার
আগে চারটি কলা, বড় রুটি দুটি। ফিরে এসে চারটি
ডিমের সাদা অংশ, এক গ্লাস দুধ, সঙ্গে মুরগির মাংস
২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম। দুপুরে এক কাপ ভাত, সবজি,
মুরগির মাংস ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ও ডাল। রাতে এক
কাপ ভাত, দুটি ডিমের সাদা অংশ, মুরগির মাংস ২০০ থেকে
২৫০ গ্রাম ও এক গ্লাস দুধ।
ফিটনেস এক্সপার্ট ববি বলেন, ব্যায়ামে শরীরের
শক্তি ক্ষয় হয়, তাই দেহের চাহিদা পূরণে এ
ধরনের সুষম খাদ্যতালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
দেহের গঠন অনুযায়ী খাদ্যতালিকায় কখনো কিছুটা
হেরফেরও হয়।
শীতে শরীরের মাংসপেশিগুলোও জমাট
বেঁধে থাকে কখনো কখনো। এ জন্য
একদিকে মানুষ যেমন কাজের গতি হারায়, তেমনি
দেহকোষেও আলস্য ভর করে। কিন্তু
শীতেই মানুষের শরীরে শক্তি সঞ্চিত থাকে
বেশি। তাই চাইলে বেশি সময় ধরে শরীর গঠনে
মনোযোগী হওয়া যায় এ শীতকালেই।
শীত আসছে, ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন জেনে নিন
শীতের আগমন ঘটেছে। তবে এই আগমনে
ত্বকের যত্নে মাথায় রাখতে হবে বেশকিছু বিষয়,
সতর্কতা। এ সময় চাই বাড়তি যত্ন। ত্বককে সুন্দর
তরতাজা আর উজ্জ্বল রাখতে হলে অতিরিক্ত
সূর্যরশ্মি অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি এড়িয়ে চলতে
হবে। তা না হলে ত্বক বুড়িয়ে যাবে।
সেক্ষেত্রে একটি ছাতা বা টোকা জাতীয় টুপি
ব্যবহার করা যেতে পারে।
যারা এগুলোকে রুচিসম্মত মনে না করেন তারা
যেকোনো একটি উত্কৃষ্ট সানস্ক্রিন লোশন বা
ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এখন প্রশ্ন আসতে
পারে, কোন সানস্ক্রিন আপনি ব্যবহার করবেন? এ
ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার ত্বকের রং বিবেচনায়
আনতে হবে। যে ত্বকের রং যত সাদা সে ত্বক
সূর্যালোকে তত বেশি নাজুক। সেই সঙ্গে শুরু
হয়েছে ত্বকের নানাবিধ সমস্যা। তাই এখন
থেকেই শুরু হোক ত্বকের বাড়তি যত্ন। এতে
শীতের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে করবে মসৃণ
এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
শীত আসছে, ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন
জেনে নিন
ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করুন
শীতে ত্বকের যত্নের শুরুতে একটি ভালো
ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম
তেল বা এভাকাডো সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন।
এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে
সাহায্য করে। যতবার ত্বক শুষ্ক মনে হবে ততবার
ব্যবহার করুন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
শীত আসছে বলে ভাববেন না যে সানস্ক্রিন
ব্যবহার করার প্রয়োজনীতা কমে গেছে।
শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে
এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
আর্দ্রতা বজায় রাখুন
শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় মাঝে মাঝে
মুখে পানির ঝাপটা দিন। সহজে ত্বক শুষ্ক হবে না।
অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত
গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকার
পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অতিরিক্ত গরম পানি
মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত
করে ফেলে যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য
করে। গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা
জোজোবা বা বাদাম তেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে
আর্দ্র এবং মসৃণ করতে সহায়তা করে।
ভেজা ত্বকের পরিচর্যা করুন
গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা
অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন।
এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
ঠোঁটের পরিচর্যা
কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়।
কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে
ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে
না।
মেকআপ করার সময়
মেকআপ করার সময় লিক্যুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার
করবেন না। শীতকালে ক্রিম ফাউন্ডেশন ব্যবহার
করুন।
চুলের যত্ন
শীতকালে কখনোই ভেজা চুলে বাইরে বের
হওয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট
হয় এবং চুল ভেঙে যায়।
হ্যাট পরুন
চুল এবং মাথার তালুর আর্দ্রতা ধরে রাখতে হ্যাট পরুন।
তবে হ্যাটটি যাতে বেশি টাইট না হয় সে দিকে
খেয়াল রাখবেন।
হাত ও পায়ের যত্ন
হাত এবং পায়ের আর্দ্রতা ধরে রাখতে যতবার
প্রয়োজন ততবার লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
করুন।