Saturday, December 22, 2018

তেঁতুলের চাটনি কি না পাসান্দ? তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়? | Benefits of Tamarind, a Diabetes-Friendly Sweet Food

১. লিভারের ক্ষমতা বাড়ে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কাঁচা
তেঁতুল বা এই ফলটি দিয়ে তৈরি কোনও পদ খাওয়া
শুরু করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা
বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে লিভারের
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে একেবারেই সময়
লাগে না। সেই সঙ্গে বিলিরুবিনের মাত্রাও ঠিক
থাকে। ফলে লিভার সংক্রান্ত নানাবিধ রোগের
খপ্পরে পরার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই
চলে!
২. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:
তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায়
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে প্রবেশ করার
পর ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের যেমন শরীর
থেকে বের করে দেয়, তেমনি দেহের
অন্দরে উপস্থিত 'ট্রোজেন ভাইরাস'দেরও
মেরে ফেলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার
সেল জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না
বললেই চলে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে
আমাদের রাজ্যে যে হারে ক্যান্সার রোগে
আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, তাতে
প্রত্যেকেরই যে তেঁতুল খাওয়ার প্রয়োজন
রয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি থাকার কারণে তেঁতুলে
খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর
মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও এতটা শক্তিশালী হয়ে
ওঠে যে শুধু সংক্রমণ নয়, ছোট-বড় কোনও
রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:
মশলা হিসেবে তেঁতুলকে কাজে লাগালে
শরীরে হাইড্রোক্সিসিট্রিক অ্যাসিড বা এইচ সি এ-
এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই উপাদানটি
শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে
সার্বিকভাবে ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন
করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, একাধিক
গবেষণায় দেখা গেছে তেঁতুল খাওয়া শুরু
করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে
শুরু করে। ফলে ক্ষিদে কমে যায়।আর একবার
কম খাওয়া শুরু করলে ওজন কমতে সময় লাগে
না।
৫. শরীরে ইনফ্লেমেশনের মাত্রা কমে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে শরীরের
অন্দরে ইনফ্লেমেশন বাড়তে শুরু করলে
ধীরে ধীরে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের
উপরই খারাপ প্রভাব পরতে শুরু করে। ফলে
স্বাভাবিকভাবেই নানা রোগ শরীরে এসে বাসা
বাঁধে, সেই সঙ্গে জয়েন্টের সচলতা কমে
যাওয়ার কারণে নড়াচড়া করার ক্ষেত্রেও সমস্যা
দেখা দেয়। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল
শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়ছে কিনা, তা আগে
থেকে জানা সম্ভব নয়, তাই তো নিয়মিত তেঁতুল
খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কারণ
এই ফলটিকে রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত
করলে ইনফ্লেমেশন বাড়ার কোনও আশঙ্কাই
থাকে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগ ভোগের
আশঙ্কা হ্রাস পায়।

No comments:

Post a Comment