Sunday, December 23, 2018

বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় জেনে নিন - ঘরোয়া উপায়ে দ্রুত

বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় জেনে নিন এখান
থেকে। যখন কয়েকমাস যাবৎ কোন যুগল সন্তান
ধারন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন – তার
মানে স্বামী অথবা স্ত্রী দুয়ের একজনে অথবা
উভয়ের মাঝে কোন সমস্যা আছে। যেকোন
মানুষ সহজেই অনুমান করতে পারেন যদি তাদের
বান্ধত্ব্য জাতীয় কোন সমস্যা থাকে। পুরুষও এর
উর্দ্ধে নয়। বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়
জানতে পোস্ট টি পুরোটা পড়ুন।
sperm-increase
যদি কোন পুরুষ মনে করেন যে তার বীর্যে
শুক্রানু প্রয়োজনীয় পরিমানে সর্বোচ্চ নয়,
তাহলে তিনি কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন
করতে পারেন। মনে রাখবেন আপনি যদি
একবছরের বেশি সময় ধরে এ চেষ্টা না করে
থাকেন তাহলে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা নিয়ে
দুশ্চিন্তা করার মত কোন কিছু নেই। আর যদি আপনি
একবছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে সন্তান
নেবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন, তাহলেই শুধু
ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।
বীর্যে শুক্রানুর পরিমান/সংখ্যা নিয়ে পুরুষের কিছু
ভুল ধারনা
শুক্রানু সংখ্যা বৃদ্ধির উপায় বলার আগে চলুন এ বিষয়ে
কিছু ভুল ধারনা সম্পর্কে যানা যাক। কিছু মানুষ মনে
করেন তার বীর্যের পরিমান এবং রঙের দিকে
তাকিয়ে নিঃস্বরিত বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা অনুমান করা
সম্ভব! বীর্যের পরিমান দিয়ে কোন পুরুষের
বন্ধত্ব কিংবা সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা নির্ধারন করা
যায়না। বীর্যের বেশিরভাগ অংশ বীর্য-তরল, তাই
খালি চোখে আমরা যা দেখি তা দিয়ে দৃশ্যমান
বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা নিরূপন করা করা অসম্ভব।
বীর্যে শুক্রানুর পরিমান/সংখ্যা জানতে তা
মাইক্রোস্কপে পরীক্ষা করা অবশ্যক।
বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়
কিছু মানুষ মনে করে খৎনা না করা লিঙ্গ পুরুষের
সন্তান জন্মদান ক্ষমতাকে ক্ষতিসাধন করতে পারে।
খৎনা এবং শুক্রানুর সংখ্যার সাথে কোন পারস্পরিক
সম্পর্ক নেই। খৎনা হলো শুধুমাত্র লিঙ্গের
অগ্রভাগ থেকে কিছুটা চামড়া কেটে ফেলা মাত্র।
খৎনা নিয়ে জাতি এবং ধর্মবেধে মতপার্থক্য থাকতে
পারে। কিন্তু লিঙ্গের অগ্রভাগে চামড়া থাকা এবং না
থাকার সাথে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যায় কো ন
পার্থক্য হয়না।
বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়
অন্য একটি ভুল ধারনা হলো, যৌন পুরুষোচিত তেজ
এর ভিত্তিতে একজন পুরুষ বলতে পারে তার
বীর্য কতটা উর্বর। উন্নত যৌনক্ষমতা থাকা হয়তো
আনন্দের, কিন্তু তা পুরুষের সন্তান জন্মদান ক্ষমতা
এবং বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা পরিমানের সাথে কোন
প্রকার সম্পর্কযুক্ত নয়। শুক্রানুর সংখ্যার সাথে
অনেকগুলো কারন জড়িত থাকতে পারে, কিন্তু ভাল
যৌনমিলন ক্ষমতা এর সাথে সম্পর্কিত নয়।
বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় – বীর্যে
শুক্রানুর সংখ্যা বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায় সমূহ
অল্প কিছু বিষয় পুরুষের বীর্যে শুক্রানু সংখ্যার
উপর প্রভাব ফেলে। নিন্মে তার কিছু বর্ননা করা
হলো:
ধুমপান করবেন না
Smoke
এখনাকার সময় সবাই যানে ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য
ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে ধুমপান শুধুমাত্র
মোটের উপর স্বস্থ্যের জন্য ঝুকিপুর্ন নয়, এটি
আপনার সন্তান জন্মদান ক্ষমতাও ধ্বংস করতে পারে।
এক স্টাডিতে দেখা গেছে, যেসকল পুরুষ ধুমপান
করেন তাদের বীর্যে শুক্রানুর পরিমান যারা ধুমপান
করেননা তাদের তুলনায় ১৭% কম।
মদ কিংবা অন্য মাদক পরিহার করুন
অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা মাদকের ব্যবহার উর্বরতা নষ্ট
করতে পারে। যেসকল পুরুষ দিনে ৪ গ্লাসের
বেশি মদ্যপান করে থাকেন তাদের শুধুমাত্র সন্তান
জন্মদান ক্ষমতা নয় – মোটের উপর যৌনক্ষমতা হ্রাস
পেতে থাকে। পাশাপাশি অধিক মাদক গ্রহন পুরুষের
লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখা ব্যহত করে যা স্থায়ী যৌন
অক্ষমতায় রূপ নিতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন
পর্যপ্ত পুষ্টিযুক্ত খাবার, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং
শরীরের সঠিক ওজন ধরে রাখার মাধ্যমে উর্বরতা
(fertility) উন্নয়ন করা যায়। শাকসব্জি এবং ফলমুল খাদ্য
তালিকায় থাকলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে যা উর্বরতায়
(fertility) ভুমিকা রাখে। গবেষনায় দেখা গেছে
শাকাসব্জি ও ফলমুলে বিদ্যমান এন্টিঅক্সিডেন্ট
উর্বরতা ( fertility) এর জন্য অনেক বেশি
উপকারী। পাশাপাশি সঠিক শাররীক ওজনও একটি
গুরুত্বপুর্ন বিষয়। অতিরিক্ত মেদযুক্ত পুরুষের
শুক্রানুর সংখ্যা এবং শুক্রানুর গুনগত মান উভয়ই খারাপ
হয়ে থাকে।
যৌনমিলন করুন
আপনি হয়তো মনে করছেন যৌনমিলন করা সন্তান
প্রত্যশি যুগলের জন্য ভাল জিনিস, কিন্তু অনেক
যগলের ভুল ধারনা আছে যে মাত্রতিরিক্ত শাররীক
মিলন করলে বীর্যে শুক্রানুর পরিমান কমে যায়।
তথ্যটি একসময় সত্য ছিল – কিন্তু বর্তমানে সুঠাম
স্বাস্থ্যবান (মোটা নয়) পুরুষের ক্ষেত্রে এটি ভুল
ধারনা বলে প্রমানিত হয়েছে। একসময় ডাক্তার এমন
পরামর্শ দিতেন যে, যেসকল পুরুষের শুক্রানু সংখ্যা
কম তারা কিছুদিন শাররীক মিলনে বিরতি দিয়ে শুক্রানু
জমা করে শাররীক মিলন করতে পারেন। যদিও
অনিয়মিত যৌনমিলন হয়তো সংখ্যায় কোনক্রমে
উন্নত হয়, একই সাথে শুক্রানুর গুনগত মানে এর
নেগেটিভ ইফেক্ট আছে। যখন একজন পুরুষ
নিয়মিত যৌনমিলন করে তখন প্রতিবার বীর্যস্থলনের
সময় সে তার ক্রুটিপুর্ন শুক্রানুর একটা অংশ নিষ্কৃত
করে। এভাবে ক্রুটিপুর্ন শুক্রানু নির্গত করে সে
স্বাস্থ্যবান শুক্রানু উৎপাদনের জন্য যায়গা খালি করে।
সকালবেলা যৌনমিলন করলেও লাভবান হবার সম্ভাবনা
আছে। গবেষণায় দেখা গেছে সকালবেলা
প্রাকৃতিক ভাবেই বীর্যে শুক্রানু সংখ্যা সর্বোচ্চ
পরিমানে থাকে।
বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আরও
জানতে হেল্থ বাংলা ওয়েবসাইট এর পুরুষের
স্বাস্থ্য পোস্টগুলো পড়ুন।

No comments:

Post a Comment