Saturday, December 22, 2018

গর্ভবতী হবার লক্ষণসমূহ

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা হোক কি না হোক,
আপনার যদি মনে হয় আপনি সন্তানসম্ভবা তবে
অবিলম্বে নিকটবর্তী হাসপাতাল বা প্রসূতিগৃহে
যোগাযোগ করুন। আপনার বর্তমান বা ভবিষতের
যে কোনও রোগের চিকিৎসা কি হবে তা নির্ভর
করে আপনি গর্ভবতী কি না তার উপর। আপনি বিবাহিত
না হলে এবং আপনার বয়স ১৬ বছরের কম হলেও তা
গোপন রাখা হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
আপনার নিকটস্থ মা এবং শিশু হাসপাতালে
প্রসবপূর্ববর্তী সেবা গ্রহন করুন।
গর্ভধারণের লক্ষণসমূহ
যাদের নিয়মিত মাসিক হয় তাদের ক্ষেত্রে
গর্ভধারনের সর্বপ্রথম চিহ্ন মাসিক বন্ধ হওয়া। মাঝে
মধ্যে গর্ভবতী হলেও মাসিকের সময় সামান্য
রক্তক্ষরণ হতে পারে।
অন্যান্য লক্ষণ
অসুস্থ বোধ করা- আপনি হঠাৎ অসুস্থ বোধ
করতে পারেন বা বমি বমি ভাব হতে পারে। যদিও
একে মর্নিং সিকনেস বলা হয়, তারপরও দিনের যে
কোনও সময় এরকম হতে পারে। যদি এর কারণে
একেবারেই কিছু খেতে না পারেন তবে
ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
স্তনের পরিবর্তন– গর্ভধারণ নিশ্চিত হওয়ার পর
স্তনের আকারে পরিবর্তন আসা শুরু হয়।
প্রাথমিকভাবে স্তনের বোঁটায় পরিবর্তন আসে।
বোঁটা চেপে ধরলে একধরনের রস নি:সৃত হতে
দেখা যায়। এটাও এক ধরনের সংকেত গর্ভধারণের।
ক্রমেই স্তনের আকার বড় হতে পারে এবং ব্যাথা
হতে পারে (অনেকের মাসিকের সময়ও এমন
হতে পারে), সুঁড়সুঁড়িও অনুভূত হতে পারে।
রক্তনালী (রগ) গুলি আরো বেশি করে দেখা
যেতে পারে এবং স্তনের বোঁটা আরো শক্ত
এবং কালচে মনে হতে পারে।
বেশি বেশি প্রস্রাবের বেগ। রাতে
প্রস্রাবের জন্য ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য ।
যোনিপথে কোনপ্রকার জ্বালাপোড়া ছাড়াই
বেশি বেশি ক্ষরন হতে পারে।
অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব।
মুখে তামাটে স্বাদ লাগা।
আগে ভাল লাগত এমন খাবার বিস্বাদ লাগা (যেমন-চা,
কফি, সিগারেট বা তেলযুক্ত খাবার) আর নতুন নতুন
খাবার খেতে ইচ্ছে করা।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট
মাসিক বন্ধ হওয়ার দিন থেকেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট
করা যায়। টেস্ট পজিটিভ হলে আপনার গর্ভধারণের
দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে বুঝতে হবে। দিনের
যেকোনো সময়ে এই টেস্ট করতে পারেন।
প্রথমে একটি পরিস্কার কন্টেইনারে (সাবান দিয়ে
ধুয়ে থাকলে দেখুন সাবান লেগে আছে কিনা)
প্রস্রাব সংগ্রহ করুন। কাছের ফার্মেসি থেকে
কিনে আনা স্ট্রিপ দিয়ে এবার দেখে নিন আপনি
গর্ভবতী কিনা। এসব স্ট্রিপের সুবিধা হল, এগুলো
বাসায় বসে গোপনীয়তা বজায় রেখেই করা যায়।
ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই মোড়কের নির্দেশিকা
পড়ে নেবেন। মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বা
নির্দেশনা অনুসরণে ভুল হলে টেস্ট এ ভুল
দেখাতে পারে। টেস্ট নেগেটিভ, কিন্তু আপনি
নিজেকে সন্তানসম্ভবা বলে মনে করছেন, এমন
হলে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে দেখুন। এরপরও
মনে হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। টেস্ট
স্ট্রিপ ছাড়াও কাছাকাছি থাকা হাসপাতাল, প্রসূতি ক্লিনিক বা
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আপনার প্রস্রাব পরীক্ষা
করে গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে পারেন।
Full Body Massage করে ঠিক রাখুন Body Shape,
পান ভালবাসা আরও বেশি। দেখে আসুন
এক্সারসাইজ গুলো, এই ব্যায়াম সম্পর্কে আরও
বিস্তারিত জানতে এবং বাসায় ম্যাসাজ নিতেঃ
০১৯১২-৬১৩৩৭৪ ।
যখন আপনি গর্ভবতী
গর্ভবতী হলে কেউ অনেক উৎফুল্ল, আবার
কেউ আকস্মিকতায় হতবিহ্বল অনুভব করতে
পারেন। অনেক দিন চেষ্টা করে মা হতে
চলেছেন, তারপরও খুব বেশি উৎফুল্ল বোধ
করছেন না, এমন হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
গর্ভবতী অবস্থায় হরমোনের প্রভাবে মায়ের
মনোভাবে তারতম্য ঘটতে পারে, হঠাৎই বেশি
আবেগাপ্লুত বা উদ্বিগ্ন হতে পারেন। এ সম্পর্কে
আপনি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
পরিবারের সদস্য এবং বন্ধু-বান্ধব সবারই এসময়ে
গর্ভবতী মায়ের পাশে থেকে সাহস যোগাতে
হবে। আপনি মা হতে প্রস্তুত না হলে তারাই আপনার
পাশে এসে দাঁড়াবে। আপনার স্বামী বা সঙ্গীও
ভিন্নরকম অনুভব করতে পারেন, তবে গর্ভবতী
মায়ের পরিবর্তনশীল মনোভাবের দিকে লক্ষ্য
রেখে তারা সব কথা খুলে বলতে পারেন না।
দুজনেরই এসময় মন খুলে একে অপরের কাছে
অনুভূতি ব্যক্ত করা প্রয়োজন।গর্ভবতী
মায়েদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি তা
হলো মা ও শিশু স্বাস্থ্য ক্লিনিকে প্রসবপূর্ববর্তী
সেবার জন্য নাম অন্তর্ভুক্ত করা।
আপনি গর্ভবতী কাকে জানাবেন?
আপনি গর্ভবতী — এই খবরটি আপনার পরিবার এবং
বন্ধুবান্ধবকে জানানো একটি আনন্দের ব্যাপার।
তবে ইচ্ছা করলে খবরটা দেরি করেও জানাতে
পারেন। অনেক মা তার প্রথম আল্ট্রাসাউন্ড
স্ক্যানের পর সবাইকে খুশির খবরটি দিতে পছন্দ
করেন।

1 comment:

  1. বাংলা হেলথ টিপস আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই লেখা থেকে আমি অনেক তথ্য জানতে পেরেছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপূর্ণ লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

    ReplyDelete