১.দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকার কারণে নিয়মিত পেয়ারা
খেলে দৃষ্টিশক্তির মারাত্মক উন্নতি ঘটে। সেই
সঙ্গে ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং
গ্লকোমার মতো রোগও দূরে থাকে।
২. কিডনির ক্ষমতা বাড়ে:
একাধিক গবেষণার পর একথা জলের মতো
পরিষ্কার হয়ে গেছে যে নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া
শুরু করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা
বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে তার প্রভাবে কিডনির
ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে শরীরের কিডনি
সংক্রান্ত কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে
পারে না। তাই বলি বন্ধু, বুড়ো বয়স পর্যন্ত কিডনি
চাঙ্গা থাকুক, এমনটা যদি চান, তাহলে পেয়ারার
সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে ভুলবেন না যেন!
৩. হার্টের ক্ষমতা বাড়ে:
শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম লেভেল ঠিক
রাখার মধ্যে দিয়ে ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে
রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় পেয়ারা। শুধু তাই নয়,
ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ক্ষতিকর কোলেস্টরলের
মাত্রা কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য়
করে এই ফলটি। তাই যাদের পরিবারে উচ্চ
রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে,
তারা নিয়মিত পেয়েরা খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন
উপকার মিলবে।
৪. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:
পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন বি৩ এবং বি৬ মস্তিষ্কে
অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে
দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেনের
কগনেটিভ ফাংশন, অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি এবং
মনোযোগের উন্নতি ঘটে।
৫. ত্বক ফর্সা হয়:
অল্প পরিমানে পেয়ারার খোসা নিয়ে তার সঙ্গে
ডিমের কুসুম মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন।
তারপর সেটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে কম করে
২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে
হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন মুখটা।
এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ ত্বকের পরিচর্যা করলে
দেখবেন ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল হয়ে
উঠতে সময় লাগবে না।
৬. ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে পালায়:
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা
রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে
বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই ফলটি
যেহেতু গ্লাইকেমিক ইনডেক্সে একেবারে
নিচের দিকে আসে, তাই পেয়েরা খেলে
ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে না। তাই
ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে এই ফলটি
খেতে পারেন।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
আপনাদের কি জানা আছে পেয়ারায় রয়েছে
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ
প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটা মজবুত করে
তোলে যে ছোট-বড় কোনও ধরনের রোগই
ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এখানেই শেষ
নয়, নানা ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে
বাঁচাতেও ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে
থাকে। সেই কারণেই তো একেবারে ছোট
বেলা থেকে বাচ্চাদের পেয়ারা খাওয়ানোর
পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
৮. কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ
কমে:
শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে থাকলে
পেটের রোগ যেমন কমে, তেমনি
কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও দূরে পালায়। আর
ফলেদের দুনিয়ায় পেয়ারায় মধ্যেই রয়েছে
সবথেকে বেশি মাত্রায় ফাইবার। তাই প্রতিদিন
সকালে প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার সময় যদি
বেজায় কষ্ট পোয়াতে হয়, তাহলে আজ
থেকেই পেয়ারাকে রোজের সঙ্গী বানান।
দেখবেন কষ্ট একেবারে কমে যাবে।
৯. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:
ক্রমবর্ধমান এই মারণ রোগকে থামাতে পারে
একমাত্র প্রকৃতি। কারণ প্রকৃতির অন্দরেই
রয়েছে সেই শক্তি, যা আমাদের ক্যান্সার রোগ
থেকে দূরে রাখতে পারে। যেমন পোরার
কথাই ধরুন না। এতে উপস্থিত লাইকোপেন,
কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল
শরীরের অন্দরে জমতে থাকা ক্ষতিকর
টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। ফলে
ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা অনেক
কমে যায়। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা
গেছে ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে
পেয়ারার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
১০. নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা
কমে:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! আসলে এই
ফলটিতে উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট,
শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ক্ষতিকর
জীবাণুদের মারতে শুরু করে। ফলে কোনও
ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। সেই
সঙ্গে শরীরে উপস্থিত সমস্ত ধরনের
বিষাক্ত উপাদানও বেরিয়ে যায়। ফলে নিমেষে
শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে আয়ুও
বাড়ে চোখে পরার মতো।
১১. মানসিক অবসাদ এবং স্ট্রেসের প্রকোপ
কমে:
গত কয়েক দশকে আমাদের দেশের পাশাপাশি
সমগ্র বিশ্বে যে রোগগুলির প্রকোপ চোখে
পরার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে, সেগুলির প্রায়
সবকটির সঙ্গেই মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের সরাসরি
যোগ রয়েছে। তাই সময় থাকতে থাকতে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি।
এক্ষেত্রে পেয়ারা আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য
করতে পারে। আসলে এতে উপস্থিত
ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের চাপ কমানোর মধ্যে দিয়ে
স্ট্রেস কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে
থাকে।
Bangla Health Tips Site,Bangla Health Care Advice,Bangla Healthy Tips Blog,BD Health Tips Tricks
Saturday, December 22, 2018
ব্লাড প্রেসারের হাত ধরে আরও জটিল রোগ ঘাড়ে চেপে বসুক এমনটা চান কি? তাহলে পেয়ারা খেতে ভুলবেন না!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment